দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে ৮ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে ৬ জন ও সাধারণ মণ্ডপে ৬ জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরে মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে প্রতিবছরের মতো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ৬ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আটদিন, সারাদেশের ৩২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপে ২ লাখ ১২ হাজার ১৯২ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি এবং সর্বস্তরের নাগরিক কমিটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সম্পন্ন হয়েছে।
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, চলমান পরিস্থিতির আলোকে সব নিরাপত্তা সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় পূজামণ্ডপগুলোতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ হিসেবে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে ছয়জন ও সাধারণ মণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। তারা ৮ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়দিন পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া সারাদেশে ৬৪টি জেলায় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাটালিয়ন আনসারদের মোট ৯২টি টিম মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। প্রতিটি টিমে ছয়জন করে সদস্য থাকবেন। এসব স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম আগামী ৬ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট আটদিন নিয়মিত নিরাপত্তা টহলের মাধ্যমে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, প্রথমবারের মতো মোতায়েন করা সদস্যদের প্রাপ্য ভাতা পূজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিতরণ করা হবে, যা গুরুত্বপূর্ণ ডিউটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের আরও বেশি উৎসাহ ও মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।